Help Forex BD


news

ব্রিটেনের সামনে এখন পথ কী?

১. চুক্তিহীন ব্রেক্সিট

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে গেলে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য ব্রিটেন একটি সুবিধাজনক চুক্তি করতে চাইছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলো কী ধরনের সুবিধা পাবে - সেটিও একটি বিষয়।

ব্রিটেন কোনও চুক্তি বা ডিল চায় কি-না সেটা জানা যাবে ১৩ই মার্চের পর।

অধ্যাপক রোযেন চৌধুরী বলছেন, "ট্রেড ডিল বা বাণিজ্যিক চুক্তি যেগুলো হচ্ছে খুব ছোট কয়েকটি দেশের সাথে হচ্ছে। জাপানের সাথে কোনও বাণিজ্য চুক্তি এখনো হয়নি।"

"লোকজনের কাছে সব খবর যথাযথভাবে পৌঁছানো এবং তখন লোকজন যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করতে পারবে। তখন হয়তো তারা বলতেও পারবে যে, আমরা ব্রেক্সিট চাইনা," বলেন তিনি।

২. প্রধানমন্ত্রীর খসড়া চুক্তির ওপর আরেক দফা ভোট

প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে দ্বিতীয় দফায় হেরে গেলেও সবচেয়ে সাদাসিধে উপায় হবে হয়তো হাউজ অব কমন্সে তার খসড়া চুক্তিটি আরেক দফা ভোটাভুটিতে নিয়ে যাওয়া।

দু-দফা হারলেও তৃতীয় দফায় পেশ করা যাবে না এমন কোনও আইন নেই।

৩. পুনরায় আলোচনা

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সরকার একেবারে নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব দিতে পারে এবং সেটা হয়তো সময়সাপেক্ষ হবে।

৪. ফের গণভোট

অন্যথায় পুনরায় গণভোটের আয়োজন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। নতুন করে গণভোটের জন্য আইনে নতুন সংযোজন প্রয়োজন হবে এবং কারা ভোটার হতে পারবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে।

অধ্যাপক রোযেন চৌধুরী বলেন, "আমার মনে হয়, লোকজনের মতামত জানার জন্য আবার একটা গণভোট দিন, যেটার কথা অনেকেই বলছে, তাহলে দেখা যাক লোকজন কী সিদ্ধান্ত নেয়।"

"কারণ লোকজন যখন ভোট দিয়েছিল তারা অনেকেই ভেবেছিল ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া হয়তো খুব সহজ হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেটা খুব মৃসণ নয়।"

কিন্তু আরেকটি গণভোটের সম্ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত - এই প্রসঙ্গে রোযেন চৌধুরীর বিশ্লেষণ হচ্ছে, "বৃহস্পতিবার ভোটের পর এটা বোঝা যাবে। ডিলে(দেরি) করতে চায় কি-না।"

"সেক্ষেত্রে হয়তো এক থেকে দেড়-বছর সময় দেয়া হতে পারে। এই সময়কালে দীর্ঘসূত্রতা এবং বাজারে অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে। এই সময়ের মধ্যে লোকজনকে একটি দ্বিতীয় অপশন দেয়া হতে পারে বলে আমার মনে হয়।"

৫. সাধারণ নির্বাচন আহ্বান

টেরিজা মে এই অচলাবস্থা নিরসনে এবং তার চুক্তির বিষয়ে রাজনৈতিক সমর্থন পেতে সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে সাধারণ নির্বাচনের আহ্বান করতে পারেন।

নির্বাচন আহ্বান করার ক্ষমতা তার নেই। কিন্তু ২০১৭ সালের মত তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনের জন্য সংসদ সদস্যদের ভোটের আহ্বান জানাতে পারেন। সেজন্য দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন প্রয়োজন হবে।

৬. পুনরায় অনাস্থা ভোট

যেকোন সময় আরেক দফা অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা যেতে পারে।

আইন অনুসারে, প্রতি পাঁচবছর পরপর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সে হিসেবে ২০২২ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা।

কিন্তু সরকারের প্রতি আস্থা-অনাস্থা প্রশ্নে এমপিদের ভোট যেকোনসময় হতে পারে।

৭. নো ব্রেক্সিট

ইউরোপীয় আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ব্রিটেন চাইলে এককভাবে ব্রেক্সিট বাতিল করতে পারবে।

No comments

Theme images by Maliketh. Powered by Blogger.